বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির সময় অভিযুক্তরা শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। স্থানীয় রুশুল মহলদারের ছেলে লাবু (৩৬), একই এলাকার তারিখ (৪২) ও সুবেল (৩৫) নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রথমে পাশের আব্দুর রাজ্জাক কলেজপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। ফেরার পথে তারা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে এই নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করে।
পরিবারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে নিরুৎসাহিত করলেও এক সপ্তাহ পর সোমবার গৃহবধূ ও তার শ্বশুর দৌলতপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার পরে দ্রুত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ জানান, “মামলার পরপরই লাবু, সুবেল ও তারিখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে।” পুলিশ ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাটি এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...