বিজ্ঞাপন
পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনা ঘটার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক ছোট মাচুয়া এলাকার মাহাবুব হাওলাদার থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর মালিকানাধীন এফবি খানজাহান নামের ট্রলারটি ৯–১০ দিন পূর্বে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। সোমবার দুপুরে চরদুয়ানি খালে ট্রলারটি পৌঁছালে স্থানীয় জাকির বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৭–৮ জন দুর্বৃত্ত রামদা, দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ট্রলারসহ মাছ ও সরঞ্জাম লুট করে নেয়।
হামলার সময় ট্রলারে থাকা জেলেরা এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হন। প্রাণে বাঁচতে কয়েকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, আবার কয়েকজনকে জিম্মি করে ট্রলারসহ দক্ষিণ চরদুয়ানি বলেশ্বর নদী দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা মাছ ও সরঞ্জাম লুট হয়।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রলার উদ্ধার করে। তবে উদ্ধারকালে ট্রলারে মাত্র তিন হাজার টাকার মাছ পাওয়া যায়, যা পরে চরদুয়ানী বাজারে বিক্রি করা হয়। ট্রলারটি বর্তমানে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও পাঁচজন গণ্যমান্য ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জেলেরা—ইকবাল, আছাদুল, সাব্বির, জাকির, নাজমুল, মনির ও আল-আমিন আকন—বলেন, হঠাৎ এ ধরনের সশস্ত্র হামলায় তারা আতঙ্কিত হয়েছেন। এমন ঘটনায় এলাকায় জেলেদের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এবং উপকূলীয় জেলেদের নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত জাকির বিশ্বাস দাবি করেছেন, “এই ট্রলার একসময় আমার ছিল। আমি ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি, তবে এখনো কিছু টাকা বাকি রয়েছে। সেই কারণেই আমি ট্রলারটি নিয়ে এসেছি।”
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মেহেদি হাসান বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ট্রলার ও লুট হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...