ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গুইমারার যৌথখামার ও বাইল্যাছড়ি এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে দুপুর ২টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়া থেকে নারিকেল বাগান এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর আগে সদর উপজেলার নারানখাইয়া থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্বনির্ভর বাজার ও নারিকেল বাগান এলাকায় পৃথক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল ভাঙচুর করা হয়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইয়ামিন (২২), মেহেদী (২৮), পলাশ (৩০), হারিজ (১৬), মো. ইউসুফ (২২), আরমান হোসেন (১৮), রাজু (৩০), রাখাল নাথ (৪৫), বাবুল (৩০), জামাল হোসেন (৩৫), হাসান (৩৫) ও আসিফ (২২)। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মহিমা বড়ুয়া জানান, আহতদের বেশিরভাগের শরীরে কাঁচ ভাঙা, গুলতি ও বাঁশের আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জোনের বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরান কবির উদ্দিন জানান, বর্তমানে স্বনির্ভর বাজার থেকে উপজেলা পর্যন্ত এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা এবং পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের পর প্রতিবাদ হিসেবে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ খাগড়াছড়িতে আজ অবরোধ ডেকেছিল। এর ফলে জেলার সর্বত্র যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সাজেকসহ বিভিন্ন পর্যটক কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। শহরের কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা বিকেল থেকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...