বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মোতায়েন করা হয়েছে সাত প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এর আগে শনিবার অবরোধকে ঘিরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুরের দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে পাহাড়িদের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থাতেও তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই চার দফা দাবিতে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
চার দফা দাবি
১. ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
২. জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশে হামলাকারীদের বিচার
৩. আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা
৪. হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন
জুম্ম ছাত্র-জনতার মুখপাত্র দ্বীপায়ন ত্রিপুরা জানান, সাধারণ জনগণের দাবিতেই শান্তিপূর্ণভাবে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না।’
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আবদুল বাতেন জানান, বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, কোথাও পিকেটিং দেখা যায়নি। তবে উপজেলায় কিছু এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধের খবর পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। শনিবারের অবরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...