Logo Logo

বাংলাদেশিদের চাহিদা কমায় ভারতের বেনারসি শাড়ি ব্যবসায় সংকট


Splash Image

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের বারাণসীতে বেনারসি শাড়ির ব্যবসা হঠাৎ কমে গেছে। রপ্তানি সমস্যার ফলে তাঁতিদের সংখ্যা কমছে, এবং পাইকারিরাও বিপাকে।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে, বিশেষ করে বেনারসি শাড়ি শিল্পে। উত্তর প্রদেশের বারাণসী অঞ্চলে শাড়ি বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে, ফলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বারাণসীর একটি গলিতে ৫৫ বছর ধরে শাড়ি বুনছেন মোহাম্মদ আহমেদ আনসারি। তিনি জানান, “বাংলাদেশ-ভারতের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিক্রি অনেক কমে গেছে।” বেনারসি শাড়ি সূক্ষ্ম সিল্ক ও সোনা বা রূপার সূচিকর্মের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। একটি শাড়ি তৈরি হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং দামের ওপর নির্ভর করে এটি এক লাখ রুপি বা তারও বেশি হতে পারে। বিশেষ করে উৎসব ও বিবাহ মৌসুমে বাংলাদেশের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।

গত বছর আগস্টে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের পর দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়। বাংলাদেশ ভারতের ওপর কিছু পণ্যের আমদানি সীমিত করে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও খাদ্যপণ্য স্থলপথে আমদানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে বেনারসি শাড়ি রপ্তানি করতে এখন সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে হয়, যা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ।

বারাণসীর তাঁতিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই দুই লাখ থেকে অর্ধেক কমে গেছে। অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজে যুক্ত হয়েছেন। পাইকারি ব্যবসায়ী পবন যাদব জানান, “বাংলাদেশে শাড়ি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় আমাদের ব্যবসা স্থবির। ১৫ লাখ রুপি পাওনা আটকে আছে, যা ফেরত পাওয়া এখন কঠিন।”

- সূত্র আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...