বিজ্ঞাপন
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। অপূর্ব পাল নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া কেন বারবার কিছু শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্মের ওপর আক্রমণ চালান, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখযোগ্য যে, পূর্বে এক শিক্ষককে ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে প্রশাসনেরও দায় এড়ানো সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। অপূর্ব পালের কর্মকাণ্ড ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানোর সুস্পষ্ট উস্কানিস্বরূপ।
জনমত এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আহ্বান—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ক কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে, নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।
-লেখক: বিশিষ্ট দাঈ ও চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...