Logo Logo

“মানসিক ভারসাম্যহীন হলে রিহ্যাবে যাক, বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়”— ড. মিজানুর রহমান আজহারী


Splash Image

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেছেন, কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই বরদাশত করা হবে না এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।


বিজ্ঞাপন


নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার ঘটনায় সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট দাঈ ও ইসলামিক স্কলার ড. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শুধু পবিত্র কুরআন নয়— কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই সহ্য করা হবে না।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে ড. আজহারী লেখেন, “নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন অবমাননার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এটি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভ ও বেদনা সৃষ্টি করেছে।”

তিনি বলেন, “এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিসের উদাহরণ দেওয়ার কারণে একজন শিক্ষকের বহিষ্কারের ঘটনাও আমরা দেখেছি। এসব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়, বরং কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষের প্রতিফলন।”

ড. আজহারী আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়, তার স্থান মানসিক হাসপাতাল বা রিহ্যাব সেন্টার— বিশ্ববিদ্যালয় নয়।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দেশের এই সংবেদনশীল সময়ে কেউ পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

তিনি বলেন, “নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও উচিত এই ঘটনায় কঠোর প্রতিবাদ জানানো। কুরআন এসেছে গোটা মানবজাতির হেদায়েত হিসেবে। কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই বরদাশত করা হবে না।”

ড. আজহারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই নিন্দনীয় কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।”

তিনি আরও প্রস্তাব দেন, “প্রতিবাদ কর্মসূচির পাশাপাশি আগামী এক মাস নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন স্টাডি সার্কেল এবং কুরআনের অনুবাদ ও তাফসির বিতরণ কর্মসূচী চালু করা যেতে পারে।”

নিজের বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবাদ ঘৃণার নয়, দায়িত্বশীলতার। ইসলাম বিদ্বেষের প্রতিটি পদক্ষেপের জবাবে আমরা ইসলামের আলোকে মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দেব ইনশাআল্লাহ।”

তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা আস-সফের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন,

“তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর জ্যোতিকে নিভিয়ে দিতে চায়। অথচ আল্লাহর ফায়সালা হলো— তিনি তাঁর জ্যোতিকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, যদিও অবিশ্বাসীরা তা অপছন্দ করে।” [সূরা আস-সফ: ৮]

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...