প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সারাদেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ফল একযোগে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ১৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন, যার মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৩ জন। গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন শিক্ষার্থী।
ফলাফলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক ভালো ফল করেছেন। মহানগরের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮ হাজার ২১৮ জন, তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৯০ হাজার ৯৩৪ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৩৪ জন।
ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে পাসের হার ঢাকায় ৬১ দশমিক ২৯ শতাংশ, গাজীপুরে ৬৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৫১ দশমিক ৯১ শতাংশ, নরসিংদীতে ৬৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, মুন্সিগঞ্জে ৫৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও ফরিদপুরে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিদেশ কেন্দ্রের পাসের হার সর্বোচ্চ, ৯৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
তবে বোর্ডের সাতটি জেলার ফলাফল আশঙ্কাজনকভাবে নিম্ন। এসব জেলায় পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে। সেগুলো হলো— গোপালগঞ্জে ৪২ দশমিক ২৮ শতাংশ, শরীয়তপুরে ৪২ দশমিক ৪২ শতাংশ, টাঙ্গাইলে ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, মানিকগঞ্জে ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজবাড়ীতে ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মাদারীপুরে ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং কিশোরগঞ্জে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সবচেয়ে কম পাসের হারের জেলা গোপালগঞ্জে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ হাজার ৯৮৩ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ২২১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ২১৬ জন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এইচএসসি পরীক্ষার সময় গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, এনসিপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৭ জুলাই জেলাটিতে কারফিউ জারি করা হয়, যা টানা ২২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ সময় জেলাটিতে এক দিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল, পরে নতুন সূচি অনুযায়ী ওইদিনের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...