Logo Logo

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রধান ফটকের সামনের সড়কে উঁচু-নিচু ঢাল, ঝুঁকিতে রোগী ও স্বজনরা


Splash Image

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে তীক্ষ্ণ ঢাল থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ কারণে একাধিকবার যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন


রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে সড়কে অসম ঢাল তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন উল্টে যাওয়ার শঙ্কা সবসময় থেকেই যায়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও অস্ত্রোপচার করা রোগীদের জন্য এ সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ি ওই অংশ অতিক্রম করার সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে তাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ফলে দ্রুত সড়কের এই অংশ সমতল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের জরিনা বেগম নামে এক বয়স্ক নারী চিকিৎসা শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। হাসপাতালের ফটক পেরিয়ে প্রধান সড়কে ওঠার সময় ভ্যানটি ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর স্বজনরা লাফিয়ে নেমে ভ্যানের পেছন চেপে ধরলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

রোগীর স্বজন মুরাদ হোসেন বলেন, “হাসপাতালের ফটকের সামনে সড়কটা এতটাই ঢালু, আমরা ভ্যান থেকে না নামলে এটি উল্টে যেত। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঢাল বছরের পর বছর ধরে আছে, অথচ কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

একই অভিযোগ মিঠাপুরের মহিন উদ্দিনেরও। তিনি বলেন, “আমি পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ঢালের এমন অবস্থা দেখে লাঠি ভর করে সড়ক পেরোতে হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন মানুষ ঝুঁকি নিচ্ছে।”

আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমরা জানি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সড়কটি পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল জানান, “সড়কের ঢালজনিত সমস্যাটি আমাদের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করছেন শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...