বিজ্ঞাপন
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, পরিবারের সদস্যদের বহনকারী গাড়িটি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করার পরপরই বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গাড়িতে থাকা সাত শিশু, দুই নারীসহ মোট ১১ জন প্রাণ হারান। হামলাটি কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়।
তিনি আরও বলেন, “তাদের সতর্ক করা বা এমনভাবে আচরণ করা সম্ভব ছিল, যাতে মৃত্যু এড়ানো যায়। কিন্তু যা ঘটেছে, তা স্পষ্ট করে যে দখলদাররা এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, ‘হলুদ রেখা’ হলো যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থান সীমা, যা গাজার অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনিদের চলাচলের অনুমতিপ্রাপ্ত এলাকা থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। ওই চুক্তির আওতায় গাজা থেকে আংশিকভাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল।
তবে বাস্তবে হামলা বন্ধ না হওয়ায় যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অঞ্চলজুড়ে অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাজার চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...