বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সালথার ফুকরা ঈদগাহের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহিম শেখ সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাকদী গ্রামের আব্দুর রউফ শেখের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে ইব্রাহিম শেখ মোটরসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয় থেকে সালথা উপজেলা কমপ্লেক্সের দিকে যাচ্ছিলেন। ফুকরা ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেল চালকই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইব্রাহিম শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনায় আহত অপর মোটরসাইকেল আরোহীর নাম বাশার খালাসী (৪০)। তিনি সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সালথা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, “এস. এস. ইব্রাহিম শেখ একজন নীতিপরায়ণ ও সৎ শিক্ষক ছিলেন। মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের আহাজারিতে বাড়িতে এক বেদনা-বিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।”
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ইব্রাহিম শেখের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...