Logo Logo

ভোটের আগে ও পরে আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এবার ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিব, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, মূলত ভোটের সময় পাঁচ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল। তবে বৈঠকে আট দিন মোতায়েন রাখার প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কোনো শঙ্কা প্রকাশ করেনি। তারা জানিয়েছে, মাঠপর্যায়ে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক বিষয় বাজেটের উপর নির্ভর করবে, যা পরে নির্ধারণ করা হবে।”

ইসি সচিব আরও জানান, নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে এবং পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সময় বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন।

তিনি বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে আনসার বাহিনীর সর্বাধিক সদস্য মাঠে থাকবে—যার সংখ্যা পাঁচ লাখ বা তারও বেশি হতে পারে। বিভিন্ন বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

আখতার আহমেদ আরও বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের অধীনে নাকি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আরপিও সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তফসিল ঘোষণা করা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আট দিনের জন্য মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী, যাতায়াত ও ফেরার জন্য অতিরিক্ত পাঁচ দিন সময় নেয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা দায়িত্ব পালন করেছিল ১০ দিনব্যাপী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...