ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকারের প্রতি অভিযোগ স্পষ্ট না হলেও, রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে কৌশলগতভাবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "আমরা খুব পুলকিত পদ্মা সেতু নিয়ে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা পৌঁছে যাচ্ছি, এটা আনন্দিত হওয়ারই বিষয়। কিন্তু একই মনোযোগ দিয়ে নদীভাঙা মানুষদের বাঁচানোর কথা ভাবি না। আমরা বড় মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিই, অথচ নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাড়াতে দ্বিধান্বিত হই।"
তিনি আরও জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবছর নদীভাঙন প্রতিরোধে ৪০০-৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও পুরোনো বাঁধ মেরামত করতে প্রয়োজন ১১০০ কোটি টাকা। "আমরা যদি নদীভাঙন রোধে বরাদ্দ বাড়াতে চাই, দেখা যাবে কি আমরা ৫০০ কোটি টাকা বাড়াতে পারি। অথচ বড় মেগা প্রকল্পের জন্য সরকার কম দ্বিধা বোধ করে। এটি কেবল সরকারের না, দেশের উন্নয়নের বাস্তবতা। বরাদ্দ ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।"
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তবতা। উন্নয়নকে টেকসই করতে চাইলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। যেমন পদ্মা সেতুর পাশে জাজিরাতে ভাঙন ধরা পড়ল, তা প্রতিহত করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় প্রয়োজন। ছোট ভাঙন প্রতিরোধের জন্যও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। অনেক অর্থ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবহিত হয়ে থাকে।"
তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে। মাইক্রো লেভেলে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ম্যাক্রো লেভেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা টেকসই করা সম্ভব।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডে টাকা জমা হচ্ছে। তবে স্থানীয় সরকারের কাজ হওয়ায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সরাসরি পানি সরবরাহে যুক্ত নয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...