Logo Logo

আওয়ামী লীগের দূর্গ গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা এম এইচ খান মঞ্জুর ব্যাপক নির্বাচনি প্রচারণা


Splash Image

দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ জেলায় এবার নতুন রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিএনপি। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এবং জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এইচ খান মঞ্জু দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।


বিজ্ঞাপন


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এম এইচ খান মঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হামলা মামলার শিকার হয়েও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। তিনি বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে সুপরিচিত এবং জেলার বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি এ এলাকায় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মন্দিরসহ রাস্তাঘাট বিদ্যুতের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এম এইচ খান মঞ্জুর বিকল্প কোন নেতৃত্ব বিএনপিতে তৈরি হয়নি।

গোপালগঞ্জের রাজনীতি ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামীলীগ নির্ভর হলেও স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির একটি সংগঠিত কাঠামো রয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা মনে করেন, পরিবর্তনের সময় এসেছে এবং জনগণ বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে এম এইচ খান মঞ্জুকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মেজর (অবঃ) অহিদুল হক মোল্লা বলেন, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের দূর্গ এ দূর্গ ভাঙার মতো একমাত্র শক্তিশালী প্রার্থী হচ্ছেন এম এইচ খান মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, গোপালগঞ্জে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। এম এইচ খান মঞ্জুর মতো অভিজ্ঞ নেতা থাকলে তৃণমূল আরও ঐক্যবদ্ধ হবে। তিনি শুধু দলের নেতা নন, সাধারণ মানুষেরও আপনজন। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ এম এইচ খান মন্জুকে চান।

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন বলেন, গোপালগঞ্জে বিএনপির অনেক কর্মী নির্যাতন সত্ত্বেও দলীয় পতাকা ধরে রেখেছেন। এম এইচ খান মঞ্জু সবসময় তাদের পাশে থেকেছেন। তার প্রার্থিতা তৃণমূলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।” দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে এম এইচ খান মঞ্জুর গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।

গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালী বাড়ির সভাপতি রমেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, রাজনীতির বাইরে মানুষ হিসেবে এম এইচ খান মঞ্জু অত্যন্ত নম্র ও মানবিক। তিনি এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এ কারণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে সব সময় থেকেছেন। আমরা যার কাছে ছায়া পাবো তাকে ভোট দিব। তিনি আরো বলেন, এম এইচ খান মঞ্জু সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রেখেছেন। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দল মত নির্বিশেষে এম এইচ খান মঞ্জুকে আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা রয়েছেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শেখ ইয়াহিয়া বলেন, আমি একটা কথাই বলবো আওয়ামী লীগের এই ঘাঁটি থেকে বিএনপি যদি গোপালগঞ্জ থেকে একটি সংসদ সদস্য পেতে চান তাহলে এম এইচ খান মঞ্জুর কোন বিকল্প নেই।

জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ শেখ বলেন, গোপালগঞ্জে বিএনপি দুর্বল নয়। সুযোগ পেলে জনগণ বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে এম এইচ খান মঞ্জুকে গ্রহণ করবে। তিনি শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝেন এবং সবসময় তাদের পাশে থাকেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি একমাত্র এম এইচ খান মঞ্জুই ভাঙতে পারবেন বলে আমরা মনে করি। তিনি আরো বলেন, বিগত নির্বাচন গুলোতে বিএনপি'র প্রার্থিতা ঠিক ছিল না। তাই কোনদিন এমপি হতে পারেনি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এম এইচ খান মঞ্জুকে দল থেকে নমিনেশন দিলে বিএনপি একটি সংসদ সদস্য পাবে গোপালগঞ্জ থেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের এ ঘাঁটিতে বিএনপির প্রার্থী দেওয়া হয়তো প্রতীকী মনে হতে পারে, কিন্তু এম এইচ খান মঞ্জুর ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা এবং জনগণের সঙ্গে গভীর সংযোগ এই নির্বাচনে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। ইতোমধ্যে এম এইচ খান মঞ্জু বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। এ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তার প্রচার প্রচারণা গোপালগঞ্জে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনার বিষয়— আওয়ামী লীগের দূর্গ গোপালগঞ্জে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এম এইচ খান মঞ্জু কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...