বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্ত্বরে অবস্থিত বিনা'র কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ওই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বিনার মহাপরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা উইং) মো. আবু জুবায়ের হোসেন বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের সদস্য এ. কে. এম. আনিসুজ্জামান আনিস, মো. শফিকুল আলম সোহেল, পরিচালক (অ্যাডমিন) ড. মো. আজিজুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু, বাকৃবি'র বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. হাম্মাদুর রহমান । অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিনার গবেষণা পরিচালক ড. মো. হোসেন আলী।
কর্মশালায় বিজ্ঞানীরা তাদের গত এক বছরের গবেষণার ফলাফল ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। এতে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল, পোকা-রোগ প্রতিরোধী এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন এবং উন্নত কৃষি প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিনা কর্তৃক ২২ টি ফসলের ১৩৫ টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ৮ টি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বিনা। উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ২০২৪-২৫ সালে তেলবীজ চাষে বিনা’র জাতের আবাদ ৩৩% পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই অর্থ বছরে মোট ৬৪৬ টন বীজ বিতরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ধান, ডাল, তেলবীজ, মসলা এবং সবজি বীজ ছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফসলের রোগ-পোকা নির্ণয় ও সমাধানের পদ্ধতি দেখানো হয়, যা আধুনিক কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়াকে তুলে ধরে।
এছাড়াও পাট ও পেয়াজ বীজের বীজবাহিত রোগ দমনে গামা রেডিয়েশন প্রক্রিয়া এবং পাট ও কলার পাতা থেকে আঁশ বের করার জন্য বিনা পাইলট প্ল্যান্ট ফাইবার এক্সট্রাকশন মেশিনের উদ্ভাবনে চলা গবেষণার কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা উইং) মো. আবু জুবায়ের হোসেন বাবলু বলেন, মাঠপর্যায়ে গবেষণার ফলাফল ও কৃষকের গ্রহণযোগ্যতা নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা জরুরি। কিছু ধানের জাত বৃষ্টিতে নত হয়ে যায়, এসব সমস্যা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। মাঠের উৎপাদন ও গবেষণার ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য কমাতে হবে এবং পোষ্ট-হার্ভেস্ট খরচ হ্রাস করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে, যা জমির ক্ষতি করছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ব্যয় হয়। এই খরচ কমানো গেলে তা গবেষণায় ব্যবহার করা যেত। গবেষণার ফল প্রচারে ঘাটতি রয়েছে। ক্যালেন্ডার, গণমাধ্যম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষকদের কাছে প্রেরিত বীজ কেন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না, তাও যাচাই করতে হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...