বিজ্ঞাপন
শোভাযাত্রার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত মুক্তমঞ্চে ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মুক্তমঞ্চে স্থাপিত স্মৃতি ফলকে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়, সিডরে নিহত এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাগরে নিখোঁজ জেলেদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক কর্মী এরফান আহমেদ সোয়েন, সমাজসেবক মেহেদী শিকদারসহ অনেকে। স্মৃতিচারণ ও দোয়া পরিচালনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
এছাড়া দিবসটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস, সিসিডিবি, রূপান্তর, সংকল্প ট্রাস্ট, দৃষ্টি মানব কল্যাণ সংস্থা সহ একাধিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
বক্তারা ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতিচারণ করে দিনটিকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড় ছিল ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। এটি উত্তর ভারতীয় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭০ মৌসুমের ষষ্ঠ ও সর্বাধিক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল, যা সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি-৩’ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...