ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল হক হিলি স্থলবন্দর থেকে কাঁচামাল কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করতেন। তার বন্ধু জরেজ মিয়া সদর উপজেলার শ্যামপুরের বাসিন্দা ও তিনি দীর্ঘ দিন মালেশিয়ায় ছিলেন।
দেশের ফেরার পর আশরাফুলের সাথে গভীর বন্ধুত্ব হয় জরেজের। আশরাফুলের সকল ব্যবসা-বাণিজ্য, হিসাব-নিকাশ রাখতেন জরেজ। গত মঙ্গলবার আশরাফুল হক বন্ধু জরেজসহ ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান। বুধবার বিকালে আশরাফুলের সঙ্গে স্ত্রী লাকী বেগমের শেষ কথা হয়। এরপর থেকে আশরাফুলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ থানায় জিডি করতে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে এসে জানতে পারেন আশরাফুল হককে ঢাকায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আশরাফুল হকের শ্যালক আব্দু লমজিদ বলেন, বুধবার বিকালে আমার বোনের সাথে আশরাফুলের কথা হয়। তখন তিনি বলেছিল, বাবা হাসপাতালে আছে, তাকে রিলিজ দেবে, টাকা পরিশোধ করে দিছি। বাবাকে নিয়া আইসো। এরপর আশরাফুলের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আশরাফুলকে কল করলে তার বন্ধু জরেজ ধরে বলে আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।
আশরাফুলের অপর শ্যালক রেজোয়ান হোসেন বলেন, আমার দুলাভাই ঢাকা যাওয়ার আগে হিমাগার থেকে ৬০ হাজার বস্তা আলু বিক্রি করেছিলেন। আলু বিক্রির প্রায় ৩০ লাখ টাকা তার কাছে ছিল। জরেজ জাপান যাওয়ার জন্য আমার দুলাভাইয়ের কাছে ১০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। যেহেতু দুলাভাইয়ের মোবাইল ফোন তার কাছে পাওয়া গেছে, তাই সে টাকার জন্য এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
আশরাফুলের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, জরেজ মালেশিয়া থেকে আসার পর সব সময় আমার স্বামীর সাথে থাকতেন। তিনি স্বামীর ব্যবসা রসকল তথ্য জানতেন। টাকার জন্য আমার স্বামীকে এমন নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
বদরগঞ্জ থানার ওসিএ কে এম আতিকুররহমান বলেন, পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা ঢাকার ওসি শাহবাগ ও ডিসি রমনাকে সরবরাহ করেছি। তারা এসব তথ্য নিয়ে কাজ করছেন। পরিবার জানিয়েছে বন্ধু জরেজই আশরাফুলকে হত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে ঢাকায় গেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...