প্রতীকী ছবি। ছবিটি এআই দ্বারা নির্মিত
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বিবেক বিশ্বাস, পিতা রবিন বিশ্বাস, গ্রাম মহাটলি, ওয়ার্ড নং ৫, উজানী ইউনিয়ন ও অভিযুক্ত নারী প্রিয়া বিশ্বাস, পিতা পরেশ বিশ্বাস, প্রিয়া যিনি ১০ বছর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্বামীর বিদেশে অবস্থানের সুযোগে প্রিয়া বিশ্বাস তাঁর ভাসুরের ছেলে বিবেক বিশ্বাসের সাথে অবৈধ সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কটি দীর্ঘদিন ধরে চললেও পরিবার ও এলাকায় বিষয়টি নিয়ে কানা-ঘোষা ছিল।
গত ৯/১১/২৫ তারিখে সুযোগ বুঝে প্রিয়া বিশ্বাস ভাতিজির হাত ধরে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান। ছেলেটিকে (ভাতিজাকে) পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন প্রিয়া— এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।
৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মৃদুল বলেন, “ঘটনাটি সত্য। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। এলাকায় সবাই জানত।”
উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজলা বলেন, “আমি বিষয়টি মেম্বারের কাছ থেকে শুনেছি। ঘটনা সত্য।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবারগুলো চরম মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ আইনে পরকীয়া, প্রলুব্ধ করে নারীকে নিয়ে পালানো, অবৈধ সহবাস, নারী প্ররোচনা— এসব অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। ঘটনাটিতে একাধিক ধারায় মামলা হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে ৪৯৭ ধারা এখন কার্যত অব্যবহৃত ও বিতর্কিত, তবে অন্যের স্ত্রীকে জেনে–শুনে নিয়ে যাওয়া বা সহবাস করা— অভিযোগ করলে মামলার মাধ্যমে বিচার হতে পারে।
বিচারে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।
পরকীয়ার উদ্দেশ্যে বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে কাউকে প্ররোচনা, প্রলোভন বা জোর করে নিয়ে যাওয়া— সরাসরি এ ধারায় অপরাধ। এই ধারাটি ঘটনাটির সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক।
যদি ভাতিজাকে বাধ্য করা হয় বা চাপ দিয়ে পালাতে বাধ্য করা হয়— তাহলে প্রিয়া বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্ররোচনা বা আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা যায়। যদি প্রলোভন, চাপ, মানসিক অত্যাচার বা প্রতারণার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অভিযোগ যোগ করা যেতে পারে। যদি ভাতিজার বয়স কম হয় বা তাকে চাপ দিয়ে পালাতে বাধ্য করা হয়— তাহলে এ আইন অনুযায়ী অপহরণ, প্ররোচনা, বা যৌন শোষণ সংক্রান্ত ধারা প্রযোজ্য হবে।
প্রিয়া বিশ্বাস ও তার ভাতিজার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শুধু পারিবারিক নয়, সামাজিকভাবেও অস্থিরতা তৈরি করেছে।
পরকীয়া, প্রলোভন ও অবৈধ সহবাসের মতো অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...