বিজ্ঞাপন
ফেরত আসা ৩০ শিশুর মধ্যে ১৯ জন ছেলে ও ১১ জন মেয়ে। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তাদের আইনি সহায়তা প্রদান করে পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন—
আলাল মন্ডল, ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ, মলয় মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডোল, নাজিম উদ্দীন, ইয়াসিন, সোহেল সরদার, আরমান মোল্লা, তামিম গাইন, রিফাত হাসান, আব্দুল্লাহা শেখ, করিমুল খান, সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন, সপ্না মন্ডল, শাহিন রেজা, অহনা শেখ, রুবি সরদার, মিম খাতুন, শারমিন আলী, টুমবপা পারভিন, সাভা খান, রাবেয়া খাতুন, ঝরনা খাতুন, সামসুর নাহার ও রাজিব ইসলাম। তাদের বাড়ি রংপুর, ঠাকুরগাঁও, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা ভারতে প্রবেশের পর অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়। ফেরত আসা শিশু-কিশোরদের মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রাথমিকভাবে হেফাজতে রেখে আইনি সহায়তা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। পরবর্তীতে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, পাচার প্রতিরোধে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও থেমে নেই পাচারকারীদের তৎপরতা। কখনো চাকরির লোভ, কখনো প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও শিশুদের সীমান্ত পার করে ভারতে পাচার করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। সেখানে নিয়ে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়। পাচারের শিকারদের মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার সম্ভব হলেও বাকিদের সম্পর্কে সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
উদ্ধারের পর ফেরত আসা এই ৩০ বাংলাদেশি ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের একটি হোমে আশ্রয় নিয়েছিল। আইনি জটিলতার কারণে তাদের কেউ কেউ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ওই হোমে থাকতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের ট্রাভেল পারমিট পেয়ে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...