বিজ্ঞাপন
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নবীনগর হাইস্কুল মাঠে ৩১ দফা দাবির বাস্তবায়ন লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় মনোনয়ন বঞ্চিত সাতজন নেতাই একই মঞ্চে উঠে দাবি জানান—এ সাতজনের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর বিএনপি বর্তমানে চারভাগে বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সদ্য মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম এ মান্নান। দ্বিতীয় গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজমূল হোসেন তাপস। তৃতীয় গ্রুপে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল হক সাইদ। অপর গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম।
একই সঙ্গে মঞ্চে থাকা সাত নেতা হলেন—উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজমূল করিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন ভূইয়া শিশির, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুন অর রশিদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল হক সাইদ, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক নাজমূল হোসেন তাপস, এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজমূল করিম।
সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মঞ্জু, সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মাইনু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ, জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, “অচিরেই আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে—আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। তৃণমূলের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে হাইকমান্ড যেন মনোনয়ন পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী ঘোষণা করেন।”
জনসভায় অংশ নেওয়া বহু নেতা-কর্মীর প্রত্যাশা, মনোনয়ন বঞ্চিত সাতজনের মধ্য থেকেই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করলে দলের ভাঙন রোধ হবে এবং মাঠে ঐক্য পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।
প্রতিবেদক- মোহাম্মদ আবু সুফী, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...