বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শূন্য গোয়ালঘর ঘিরে এলাকাবাসীর ভিড়। গরু হারানোর শোকে কৃষক দম্পতির ঘরে নেমে এসেছে গভীর হতাশা। পরিবারের দুই ছেলেকে পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন এবং সংসারের ভরসা—সবই যেন মুহূর্তে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী সঞ্জয় দত্ত জানান, রাতে তাঁর বসতঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে গরুগুলো নিয়ে যায় ১০–১২ জনের একটি চোর চক্র। রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোয়ালঘর থেকে শব্দ পেয়ে দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন তিনি চোর চোর বলে চিৎকার করেন। কোনোভাবে দরজা ভেঙে বাইরে বের হয়ে রাস্তায় দুটি পিকআপ ভ্যান দেখতে পান। একটি ভ্যানে গরু তোলা হচ্ছিল, অন্যটিতে ১০ থেকে ১২ জন লোক দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি পিকআপের দিকে দৌড় দিলে চোরেরা গুলি করার হুমকি দেয় এবং দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুক্তা দত্ত বলেন, “গরুগুলা বেইচা থাহার ভরসা আছিল। দুইডা ছেলে পড়ালেখা করে। দুইডা গরুর দুধ বেচাই সংসার চলতো। একটা ষাড় আছিল, কয়দিন আগে এক লাখ টাকা দাম কইছিল, তখন বেচি নাই—ভাবছিলাম ঈদের সময় বেইচা ঘর বানামু। সব শেষ হইয়া গেলো। আমরা নিঃস্ব হইলাম।”
ঘটনার পর ভাঙ্গারহাট নৌ–পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে পৌঁছে। কৃষক দম্পতি অভিযোগ দিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, কোটালীপাড়ায় সম্প্রতি গরু চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এর আগেও দুটি ঘটনায় গরু চুরি করতে এসে গরুসহ দুটি পিকআপ ফেলে পালিয়ে যায় একটি চক্র। স্থানীয়দের দাবি, এসব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...