বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প (AVCB-3)’ এর আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) গোপালগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফ-উজ-জামান।
ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এখানে উপস্থিত সকল জনপ্রতিনিধিই গ্রাম আদালতের বিচারক। সাধারণ জনগণ যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে আপনাদের সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। কোনো অসহায় ব্যক্তি যেন বিচার না পেয়ে ফিরে না যায়—এ বিষয়টি নিশ্চিত করাই আপনাদের দায়িত্ব।” তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চেয়ারম্যানদের গ্রাম আদালত পরিচালনার দক্ষতা ও আইনগত জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে।
প্রশিক্ষণের কোর্স সমন্বয়কারী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, “গ্রাম আদালত পরিচালনায় যারা মূল ভূমিকা পালন করেন, তাদের দক্ষ করে তুলতেই এই আয়োজন। কোন কোন মামলা গ্রহণযোগ্য, কোনগুলো নয় এবং কীভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে—এসব বিষয়ে ধারাবাহিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ ও সংশোধিত আইন ২০২৪ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সম্পর্কেও অংশগ্রহণকারীরা বিস্তারিত ধারণা পাবেন।”
প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের আইন ও বিধি নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শনের মাধ্যমে সেশন পরিচালনা করেন ডিআরটি সদস্য মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার), শাহীদুল ইসলাম (উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর) ও অসিত কুমার সাহ (উপপরিচালক, সমাজসেবা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ)।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন রুনাল্ট চাকমা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার শাখা), গোপালগঞ্জ এবং মোঃ আলিউল হাসানাত খান, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, এভিসিবি-৩ প্রকল্প।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলার ২৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও জনগণমুখী হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...