বিজ্ঞাপন
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আলজাজিরা’ রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর পরিবার ও সমর্থকরা দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। ডাক্তারদের ভাষ্য, তিনি “চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।” খালেদা জিয়াকে ফুসফুসের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম **‘ডন’**ও খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে জানিয়েছে, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জিয়াকে ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালে তিনি মুক্তি পান।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে বলেন, “গণতন্ত্রের এই ক্রান্তিকালে খালেদা জিয়া জাতির জন্য পরম অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর আরোগ্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘খুবই সংকটজনক’। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ চলছে। বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নেত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ‘গলফ নিউজ’ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ‘খালিজ টাইমস’ জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার হৃদরোগ, লিভার ও কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস এবং চোখের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা রয়েছে। তিনি একটি স্থায়ী পেসমেকার ব্যবহার করেন এবং পূর্বে হার্ট স্টেন্টিংও করিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এই সংকটজনক পরিস্থিতি দেশ-বিদেশে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...