বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাস জমি হিসেবে পরিচিত এ স্থানে সম্প্রতি পাকা অফিসঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, “এ জমিটি সরকারের—এটা বহুদিনের জানা বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে রাজনৈতিক দলের অফিস নির্মাণ শুরু করায় আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারি জমিতে এমন দখলদারি মেনে নেওয়া যায় না।”
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ডাকুয়া বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “উপরের নির্দেশে অফিস ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। কয়েকদিন আগে বাকেরগঞ্জের সাবেক এমপি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান জায়গাটি দেখিয়ে দিয়ে আলাদা অফিস করার কথা বলেছেন।”
জমির মালিকানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি সড়ক ও জনপদের জমি। আগে এখানে একটি পুকুর ছিল, স্কুল ভবন নির্মাণের সময় ঠিকাদার তা বালু দিয়ে ভরাট করেন। এরপরই অফিসঘর নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে সাবেক এমপি ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবুল হোসেন খান বলেন, “ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন কাজ বন্ধ করা হয়েছে।”
জমি দখল ও নির্মাণ বিষয়ে জানতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদারের সঙ্গে সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি একটু আগে বিষয়টি জেনেছি। ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ শুরু করায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...