বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্র জানায়, বহুতল ভবনের মালিকপক্ষ কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পাইলিং কাজ পরিচালনা করছিল। কাজ শুরুর পর থেকেই পাশের ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটির একটি অংশ ধসে পড়ে। তবে সময়মতো শ্রমিক ও শোরুমের কর্মীরা বের হয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ধসে পড়া ভবনের মালিক ও বেস্টবাই ফ্র্যাঞ্চাইজির উদ্যোক্তা মনিরা খাতুন জানান, নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তারা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের বেলায় তাঁর ভবনের নিচের মাটি সরিয়েছেন। পৌরসভার নিয়ম লঙ্ঘন করে তিন ফুট দূরত্ব না মানাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগও করেন তিনি। মনিরা খাতুন দাবি করেন, তাঁর প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং তিনি এর বিচার চান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাফফর আলী মুসা বলেন, “পৌরসভার সঠিক তদারকি না থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন ও নিয়ম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা পৌরসভার দায়িত্ব।”
নির্মাণাধীন ভবনের মালিক সঞ্জয় সাহার বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌরসভার প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ঘটনাটি এখনো তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...