Logo Logo

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান

কোটালীপাড়ায় এক মাসে ১৯টি ড্রেজার জব্দ


Splash Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ও নজিরবিহীন অভিযানে ১৯টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাগুফতা হক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম বিল্লাহ। একই সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, মাঝবাড়ি, লখন্ডা, কালিগঞ্জ, ডুমরিয়া, উনশিয়া, বর্ষাপাড়া ও বানিয়ারী এলাকায় পৃথক অভিযানে এসব ড্রেজার জব্দ করা হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নদী, খাল ও বিলের পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ইউএনও সাগুফতা হক এবং এসিল্যান্ড মাসুম বিল্লাহ দিন-রাত এক করে মাঠে নামেন, যার ফলে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে।

কুশলা গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ শেখ বলেন, “ইউএনও সাগুফতা হক যোগদানের পর খাল ও বিল রক্ষা কর্মসূচি নতুন গতি পেয়েছে। আগে কিছু অসাধু ব্যক্তি ড্রেজার বসিয়ে বালু তুললেও এখন প্রশাসনের নজরদারির কারণে আর কেউ সাহস পাচ্ছে না।”

কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ জানান, “ইউএনওর নির্দেশনায় এসিল্যান্ডের অভিযান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আকস্মিক অভিযানের ফলে বালু উত্তোলনের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, “খাল-বিলের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে কোনোভাবেই শিথিলতা দেখানো হবে না। পরিবেশ ও কৃষিজমি রক্ষায় কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...