বিজ্ঞাপন
সভায় বক্তব্যে নুরুল হক নূর বলেন, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির পালাবদলেও সাধারণ মানুষের জীবনে মৌলিক পরিবর্তন আসেনি। তাই নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে দাঁড়াতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, গণঅধিকার পরিষদ অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে আসন ও অর্থের প্রলোভনের সম্মুখীন হয়েছে, তবে আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করি নি। আমরা জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে আছি।
নুর আরও বলেন, “আমরা দুই-চারটি আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না। দেশের স্বার্থে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্মানজনক সমঝোতা হলে জোট হতে পারে, কিন্তু কোনো স্বল্পস্বার্থের বিনিময়ে নয়।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে বিশেষ প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে, অন্যথায় ফেব্রুয়ারিতেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নুর জানান, নির্বাচনের সময় গণঅধিকার পরিষদ পুরো দেশে ৩০০ আসনে এককভাবে প্রার্থী দেবে। তবে জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে নির্বাচনী সমঝোতা নির্দিষ্ট জনসমর্থন নিশ্চিত আসনে হবে।
সভায় নুর দেশের কিছু রাজনৈতিক দলের **“হুমকি-ধামকির রাজনীতি ও আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতা”**রও সমালোচনা করেন এবং সব রাজনৈতিক দলকে সংযম, সহনশীলতা ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
উক্ত জনসভায় নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিউর রহমান তানভীর, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক মো. কাইয়ূমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শেষে নুরুল হক নূর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং নবীনগরের জনগণের কাছে পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...