Logo Logo

যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত


Splash Image

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি খ্যাত এই জেলা সেদিন ছিনিয়ে আনে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ। সেই গৌরবোজ্জ্বল দিনটিকে স্মরণ করে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহান মুক্ত দিবস।


বিজ্ঞাপন


সকালে ঠিক ১০টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা ও আলোচনা সভা।

মুক্ত দিবসকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়ক, স্মৃতি স্তম্ভ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলনমেলা।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুযায়ী, একাত্তরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আখাউড়া শত্রুমুক্ত হয়। এরপর মুক্তিবাহিনী ও ভারতের মিত্রবাহিনী রেললাইন ও উজানীসার সড়কপথ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ৮ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করলে “জয় বাংলা” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শহর। বিজয়ের উল্লাসে স্বজন হারানোর বেদনা মিশে গিয়েছিল মানুষের চোখেমুখে।

মিলনমেলা ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ এমরানুর রেজা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার শাহ মোঃ আব্দুর রউফ, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নোমান মিয়া, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইসতিয়াক ভূঁইয়া।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাকির হোসেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উদ্দিনসহ বিভিন্ন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ।

দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্মরণ করেছে স্বাধীনতার সেই মহিমান্বিত অধ্যায়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...