বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, হাওরের ফসলি জমি থেকে ২–৩ ফুট গভীরতার টপ সয়েল কেটে মদন পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ও ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে অনুমোদনবিহীন শত শত ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক সড়কে চলাচল করছে। এসব ভারী যানবাহনের দাপটে গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ট্রলি ও ট্রাকে বহন করা মাটি সড়কের ওপর পড়ে থাকায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে সারাদিন রাস্তাঘাট ধুলোর কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বৃষ্টি হলে সড়কে জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে; ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম হিরো বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অল্প দামে জমির মালিকদের কাছ থেকে ফসলি জমির মাটি কিনে নেয় এবং তা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন স্থানে ও ইটভাটায় বিক্রি করে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও অপরিকল্পিত মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন কমছে এবং ধীরে ধীরে মদন উপজেলার ভৌগোলিক চিত্রও পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি মাটি কাটা বন্ধে নিয়মিত ও কার্যকর অভিযান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মাটি ব্যবসায়ীদের একজন সাইকুল মিয়া বলেন, মানুষের প্রয়োজনেই তারা মাটি কাটেন। তবে মৌখিক অনুমতির পরিবর্তে লিখিত অনুমতি দেওয়া হলে হয়রানি কমবে বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে জমির মালিক আজহারুল ইসলাম বলেন, নিজেদের প্রয়োজনেই তারা নিজ নিজ জমি থেকে মাটি কাটছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ফেললে জমির ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি তিনি নিজেও কয়েক স্থানে দেখেছেন। কৃষকদের টপ সয়েল না কাটতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেদবতী মিস্ত্রী বলেন, ভেকু দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...