ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১১ জুন) সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এখনো কেউ কেউ গ্রামের পথে রওনা হচ্ছেন, তবে সংখ্যাটি খুবই কম। অন্যদিকে ঢাকামুখী যাত্রীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে যত মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন, ফিরছেন তার চেয়েও বেশি। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার হাফিজুর রহমান জানান, “এখন যাত্রী অনেক কম। ৮-১০ জন যাত্রী নিয়েই বাস ছাড়তে হচ্ছে। তবে ঢাকায় ফেরত বাসগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ।”
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুর রহমানও একই তথ্য জানান। তার ভাষায়, “যারা বাড়ি যাওয়ার, তারা আগেই গেছেন। এখন খুব অল্প সংখ্যক যাত্রী গ্রামে যাচ্ছেন। তবে ঢাকামুখী বাসগুলোর সব ক’টি প্রায় পূর্ণ যাত্রী নিয়ে ফিরছে।”
সরকারি ছুটি চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত, কিন্তু বেশিরভাগ বেসরকারি অফিস ঈদের ছুটি দিয়েছে ৪-৫ দিন। ফলে ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে জীবিকার তাগিদে।
চাকরিজীবী অপু রহমান বলেন, “অফিসে ঈদের ছুটি ছিল চারদিন। একদিন বাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এখন আবার অফিস শুরু হওয়ায় ঢাকায় ফিরতে হলো।”
মিরপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তানিম আহমেদ জানান, “সরকারি ছুটি দীর্ঘ হলেও আমাদের অফিসে মাত্র পাঁচদিন ছুটি ছিল। তাই চাইলেও বাড়িতে থাকা সম্ভব হয়নি।”
পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ফেরা সাগর মাহমুদ বলেন, “প্রতিবারই ঈদে বাড়ি যাই। এবারও গিয়েছিলাম, তবে অফিস শুরু হয়ে যাওয়ায় ফিরতে বাধ্য হয়েছি।”
ফিরতি মানুষের চাপ বাড়লেও এখনো রাজধানীর চিরচেনা যানজট বা কর্মচাঞ্চল্য পুরোপুরি ফিরে আসেনি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকায় স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসবে বলে আশা করছেন নগরবাসী।