ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর ভিড়, ইনসেটে নিহত ব্যবসায়ী মামুন। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন খোকাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয়দের দাবি, ভুলতা ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোকাকে এলাকায় দেখা গেলে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খোকা সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
এ খবর পেয়ে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক জাইদুল ইসলাম বাবু। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুবুর রহমানের ভাতিজা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে বাবু পিস্তল বের করে জনতার দিকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মামুন ভূঁইয়া।
তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ঘটনার পর বাবু পালিয়ে যান। এলাকাবাসীর ধাওয়ায় গণপিটুনির শিকার হন সাব্বির হোসেন খোকা এবং পরে তাকে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, খোকা ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এলাকায় দেখা দিলে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার জেরে ছাত্রদল নেতা বাবু পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেন।
নিহতের বড় ভাই বাদল ভূঁইয়া রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন।