Logo Logo

কোম্পানীগঞ্জে নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত ১০ হাজার পরিবার, দ্রুত পদক্ষেপ চেয়ে জামায়াতের পদযাত্রা


Splash Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী এলাকায় নদী ভাঙনের ভয়াবহতা দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। হাজারো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে, নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ টাকার ফসলি জমি।


বিজ্ঞাপন


এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে বুধবার (১১ জুন) জামায়াতে ইসলামী উপজেলার চরএলাহী বাজারে একটি প্রতিবাদী পদযাত্রা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সকাল থেকেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চরএলাহী বাজারে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১২টার দিকে শুরু হয় পদযাত্রা, যা প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করে বামনী নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির ও নোয়াখালী-৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, “চরএলাহী, চরহাজারী ও মুছাপুর এলাকায় প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে এবং ২৫ হাজার একরের বেশি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।”

নদীভাঙন রোধে বেলায়েত হোসেন অবিলম্বে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির কথা জানান—(১) নদীতে দ্রুত ক্রসড্যাম নির্মাণ, (২) বামনী খালের সুইচগেট খুলে দেওয়া এবং (৩) নদীর তীরে ব্লক স্থাপন করে স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ।

পদযাত্রা শেষে চরএলাহী ঘাট এলাকায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ও চরএলাহী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আইউব আলী। এতে বক্তব্য দেন বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মহিউদ্দিন, জামায়াত নেতা জিয়াউল হক জিয়া এবং চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী।

বক্তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নদীভাঙন শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। সরকারের উদাসীনতায় হাজারো পরিবার আজ নিঃস্ব। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

প্রতিবেদক - গিয়াস রনি, নোয়াখালী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...