Logo Logo

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

আওয়ামী লীগকে কি আদৌ রাজনৈতিক দল বলা যায়, প্রশ্ন অধ্যাপক ইউনূসের


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক বিতর্কিত মন্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন, "আওয়ামী লীগকে আদৌ রাজনৈতিক দল বলা যায় কি?"


বিজ্ঞাপন


লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেন, যার মধ্যে ছিল আগামী নির্বাচন, মিডিয়ার স্বাধীনতা, ভারতের সাথে সম্পর্ক এবং দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক। ১৭ বছর পর সত্যিকারের ভোটের সুযোগ পাবে মানুষ। তরুণরা যাদের প্রথম ভোট দেয়ার বয়স হয়েছে, তাদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।" তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কেবল একটি সরকার গঠনের ভোট নয়, এটি 'নতুন বাংলাদেশের' জন্য ভোট।

সংলাপে প্রশ্ন উঠলে তিনি ব্যাখ্যা দেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং 'দেশ ও রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে' তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা বহাল থাকবে।

সংবাদমাধ্যমে বল প্রয়োগের অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, “আমাদের সময়েই গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে।”

সংলাপে তিনি জানান, জুলাই মাসে সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে 'জুলাই চার্টার' ঘোষণা করা হবে এবং তার ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংস্কার ইস্যুতে গণভোট না দেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে ইউনূস বলেন, "অনেকেই গণভোটকে অর্থহীন মনে করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যই হবে বাস্তবভিত্তিক পন্থা।"

ভারতের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ। আমি মোদীকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন তাকে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ না করতে বলেন।"

বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেই সময় ছিল বিশৃঙ্খলার। আমরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই অগ্রাধিকার দিয়েছি।”

পরবর্তী সরকারের অংশ হবেন কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “একেবারেই না। আমাদের কাজ হলো রূপান্তরের পথ তৈরি করা, নির্বাচনের পরই আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেব।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...