বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িতে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত ‘গুণীজন সংবর্ধনা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গুণীজনরা দেশ ও সমাজের অগ্রদূত, আর শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন সেই পথের পথিক। যে ব্যক্তি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করেছে, সে কখনো অহংকারী বা দাম্ভিক হতে পারে না। সে হবে বিনয়ী ও মানবিক। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি হতে হবে আনন্দমুখর, যেখানে শিক্ষার্থীরা মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে।”
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ছয় মাস আগে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি ‘গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেফ সিটি’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি। এই শহরে সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও জাতি এক ও অভিন্নভাবে বসবাস করবে। এখানে কোনো হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ বা বৈষম্য থাকবে না। সবাই মিলে আমরা একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলবো। এ শহরকে ভালোবাসতে হবে। যত্রতত্র ময়লা, প্লাস্টিক বা পলিথিন ফেলা যাবে না। নালা ও খালে বর্জ্য ফেলা যাবে না এবং পরিবেশ নোংরা করা যাবে না।”
অনুষ্ঠানে দেশ ও সম্প্রদায়ের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধিত ব্যক্তিরা হলেন:
স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত, ভাষাসংগ্রামী ও কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক প্রতিভা মুৎসুদ্দী
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া
একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও সাহিত্যিক সুব্রত বড়ুয়া, সাহিত্যিক, গবেষক ও সংগঠক, বহু সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, শিল্পপতি ও দানবীর স্বপন কুমার চৌধুরী।
-এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।