বিজ্ঞাপন
এর আগে লন্ডনের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তিনি হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন।
সফরকালীন সময়ে ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকারসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। অংশ নেন বিভিন্ন কর্মসূচিতেও। সফরের একটি তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক, যা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।
বৈঠক-পরবর্তী এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, তারেক রহমানের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ড. ইউনূস মন্তব্য করেন—প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রস্তুতি ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের অগ্রগতি অর্জন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হতে পারে।
এ সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের ইস্যু। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে, যার একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে।” তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করছেন। উদাহরণ হিসেবে শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পদ জব্দের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও এই সফরে ড. ইউনূসকে ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়। সারাজীবন মানবকল্যাণে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।