বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ জুন) সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই বৃষ্টিবলয় আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশের আকাশসীমা ত্যাগ করবে।
বিডব্লিউওটি জানায়, এই সময়কালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। তবে রংপুর, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেও বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বৃষ্টির সবচেয়ে সক্রিয় সময়কাল হবে ১৭ থেকে ২১ জুন এবং ২৩ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত।
আবহাওয়া বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের ফলে রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড়ধসের ঝুঁকিও রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো, বৃষ্টিবলয়ের সময় বড় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। যদিও উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সারাদেশে বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির বিরতির সময় কিছু কিছু এলাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতও হতে পারে, তবে তা হবে স্বাভাবিক মাত্রায়।
বিডব্লিউওটি বিভাগওয়ারি সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণও জানিয়েছে, যা নিম্নরূপ—
ঢাকা বিভাগ: ১৮০-২২০ মিলিমিটার
খুলনা বিভাগ: ১৫০-২৫০ মিলিমিটার
বরিশাল বিভাগ: ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার
সিলেট বিভাগ: ৩০০-৪৫০ মিলিমিটার
ময়মনসিংহ বিভাগ: ২৮০-৩৫০ মিলিমিটার
রাজশাহী বিভাগ: ১৫০-২৫০ মিলিমিটার
রংপুর বিভাগ: ২৮০-৩৫০ মিলিমিটার
চট্টগ্রাম বিভাগ: ৩৫০-৫০০ মিলিমিটার
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বৃষ্টিবলয় কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও দুর্বল অবকাঠামো এবং পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নাগরিকদের এ সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিডব্লিউওটি।