ছবিতে দুদকের সংবাদ সম্মেলন, ইনসেটে সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা ও তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ১২টি নামসর্বস্ব ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এবং তা বিদেশে পাচার করেন।
দুদকের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত এই জুটির নেতৃত্বে থাকা ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড অন্যতম। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল), ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক থেকে ক্রমাগতভাবে ঋণ গ্রহণ করে।
ঋণের অর্থের সঠিক ব্যবহার না করে তা গোপনে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ছিল ভুয়া বা কাগজে-কলমে নামমাত্র, যাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কিংবা কার্যকর অবকাঠামোর কোনো অস্তিত্ব মেলেনি।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে এবং তারা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। শিগগিরই দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সাবেক হাইকমিশনার মুনা তাসনিমের কূটনৈতিক পরিচিতি ও প্রভাব ব্যবহার করে কীভাবে এমন একটি অর্থনৈতিক অপরাধ সংঘটিত হলো, সে বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। দুদক বলেছে, কেবল অর্থ নয়, এই মামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হলে দেশের কূটনৈতিক ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।