বিজ্ঞাপন
এতে ভুক্তভোগী কৃষক আব্বাস উদ্দীন হাওলাদারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্বজন মো. রানা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা আব্বাস উদ্দীন হাওলাদার মৃত আফসার উদ্দীনের ছেলে। তার পরিবারের পৈতৃক ও কবলাকৃত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার আত্মীয় মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার ও মাকসুদা বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে দুই মাস আগে মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা ভূমি অফিসের একটি দল বিরোধপূর্ণ জমির বাস্তব অবস্থা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে গেলে বাদী ও বিবাদী—উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তারা। তদন্তকালে মাকসুদা বেগমের মেয়ের জামাই অহিদ সাইফুল এবং তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন, তারা জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে তারা আব্বাস উদ্দীনের চাচাতো ভাই সাইদুলকে মারধর করেন এবং অপর চাচাতো ভাই সিয়ামের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। বর্তমানে সিয়াম রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় অহিদ সাইফুল আব্বাস উদ্দীনের মেয়ে হাসিকে লাথি মারেন এবং ঘরের হাঁড়ি-পাতিল ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, অহিদ সাইফুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ধর্ষণ মামলার অভিযোগ ছিল এবং সে কারাভোগ করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে অভিযুক্ত অহিদ সাইফুল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “আমি দেড়শ গজ দূর থেকে ঘটনার ভিডিও করছিলাম। সাইদুল নামের একজন হঠাৎ এসে আমাকে মারধর করে। পরে অন্যরাও আমাকে ঘিরে ধরে আক্রমণ করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।”
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...