বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২০ জুন) জুমার নামাজের পর তার কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে উত্তেজিত জনতা তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি জমিতে বসবাসকারী সোহেল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি, অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও বিয়েবাড়িতে গিয়ে জোর করে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলেন। তার আচরণ ছিল অশ্লীল ও উগ্র। এলাকাবাসী একাধিকবার তাকে সতর্ক করলেও সে কোনো কর্ণপাত করেনি, বরং উল্টো হুমকি দিতো।
একাধিক সূত্র জানায়, তার বাড়ি থেকে ইয়াবা ও গাঁজার বেচাকেনা চলত, যার কারণে উঠতি বয়সী যুবকদের মধ্যে মাদক আসক্তি বাড়ছিল। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের নীরবতায় তার কর্মকাণ্ড আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবশেষে শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তেজিত গ্রামবাসী সোহেলের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন।
ফায়ার সার্ভিস এলেও নিয়ন্ত্রণে আনে না আগুন
খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে না এনে ফিরে যায়। এ সময় এলাকাবাসী বলেছিলেন, “এটা আমাদের এলাকার অভিশাপ ছিল, আজ আমরা মুক্তি পেয়েছি।”
সামাজিক ক্ষোভ ও প্রশাসনিক প্রশ্ন
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, যদি আগে থেকেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এখন দেখার বিষয়—প্রশাসন কীভাবে এই ঘটনাকে মোকাবিলা করে এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রমে কী পদক্ষেপ নেয়।
-সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...