ফাইল ছবি।
বিজ্ঞাপন
এতে জেলার তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্লাবনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে, ফলে ফসলহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত চার দিনে যমুনার পানি বেড়েছে ৩৬ সেন্টিমিটার। শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টেও একই সময়ে পানি বেড়েছে ৩৫ সেন্টিমিটার।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৬টায় শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১৯ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৭১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ববর্তী দিনগুলোর হিসেবে দেখা যায়—রোববার পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার, শনিবার ৮ সেন্টিমিটার এবং শুক্রবার ৩ সেন্টিমিটার।
একইভাবে, কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৯২ মিটার পানি, যা বিপৎসীমার ২৮৮ সেন্টিমিটার নিচে।
ফলে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের বহু গ্রামের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ফসলের ক্ষতির শঙ্কা বাড়ছে।
বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত যমুনার পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উজানে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলে মেঘের অবস্থান থাকায় এই প্রবণতা আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, "যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তাই আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই। তবে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নদীভাঙন রোধ এবং সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।"
স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাঁধ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর নজরদারি জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...