বিজ্ঞাপন
এবার দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী, আলিম পর্যায়ে পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষাকে সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নকলমুক্ত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের গুজব দমন, পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দেশের সব কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া, ওএমআর শিটে সঠিক তথ্য পূরণ ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র না ভাঁজ করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার, বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল অংশে কোনো বিরতি না থাকা এবং মোবাইল ফোন সঙ্গে না রাখা। তত্ত্বীয়, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার্থীরা শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে নয়, বরং স্থানান্তরকৃত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক্ষেত্রে ৩৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এতে প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক রাখা, তিন ফুট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা, পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগেই ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র যাচাই ও খামে সংরক্ষণ, নির্ধারিত সেট অনুযায়ী পরীক্ষার দিন খাম খোলা এবং অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে।
প্রশ্নপত্র পরিবহনে থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নকল প্রতিরোধে পোস্টার টানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধুমাত্র এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ির ব্যবহার অনুমোদিত থাকবে। বর্ষাকালের সম্ভাব্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবেলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০২৪ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে সরকারের নজরদারি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাড়তি মনিটরিং চালানো হবে যাতে গুজব কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ না থাকে।