বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এই খবর নিশ্চিত করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, এইসব ব্যক্তিরা ইসরায়েলি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। অন্যদিকে, নূরনিউজ সূত্রে দাবি করা হয়েছে—এই সময়ের মধ্যে ইরানি বাহিনী প্রায় ১০ হাজার বিস্ফোরকবাহী ড্রোন জব্দ করেছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করলেও জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তবে নিশ্চিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের পার্লামেন্ট এক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর পরিদর্শকদের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশ এখন থেকে হবে কেবল সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনে।
নূরনিউজ জানিয়েছে, যদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা পূর্বশর্ত পূরণ না হয়, তবে আইএইএ-কে আর আগের মতো নির্বিঘ্নে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই পদক্ষেপ কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও নতুন চাপ তৈরি করবে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
-এমএসকে