বিজ্ঞাপন
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা জানাচ্ছেন, এই সমাবেশ হবে একদিকে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে, অন্যদিকে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের উপলক্ষ।
দলের তিনটি প্রধান দাবি হলো—
১. রাষ্ট্রের মৌলিক ও প্রয়োজনীয় সংস্কার,
২. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার,
৩. পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) ভিত্তিক সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন।
ইসলামী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কিছুটা সাফল্যও পেয়েছে। এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘চমক’ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। ২৮ জুনের মহাসমাবেশের মাধ্যমে সে প্রস্তুতিরই প্রকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই মহাসমাবেশের অন্যতম উদ্দেশ্য নির্বাচনী মাঠে নিজেদের প্রভাব এবং জনসমর্থন প্রদর্শন করা। ইতোমধ্যেই সারাদেশ থেকে লাখো কর্মী-সমর্থক ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, “২৮ জুন ঢাকায় একটি গণজোয়ার সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ। মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।”
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্বগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ইসলামী আন্দোলন বলছে, মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েই কেউ ১০০% ক্ষমতা ভোগ করছে— এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে ছোট দলগুলোরও সংসদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে।
এই দাবির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কিছু ইসলামি দল একমত হলেও বিএনপি এই পদ্ধতির ঘোর বিরোধী। তবে বিশ্লেষকদের মতে, পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রতিষ্ঠার আলোচনা চললেও এখনো কোনো চূড়ান্ত রূপরেখা আসেনি। ২৮ জুনের মহাসমাবেশে এই বিষয়েও বড় কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তবে সমঝোতা না হলে ইসলামী আন্দোলন এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী ঘোষণাও করেছে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ঢাকায় আসার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন ইসলামি দল ও পিআর সমর্থনকারী দলগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি দল ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণে সম্মতি জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মহাসচিব ইউনুস আহমদ বলেন, “রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যম। এই মহাসমাবেশের বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
-এমএসকে