ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে—দলটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গুম ও নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘মায়ের ডাক’ এবং ‘মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র’ আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার জন্য যারা মায়াকান্না করছেন, যদিও বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিন দিন ধরে আমরা মিডিয়ায় এর জন্য যে সুশীল কথা শুনছি, কিন্তু এই গুম হওয়া পরিবারগুলোর জন্য তো আমরা কোনোদিন সুশীলদের মুখ থেকে সহানুভূতির শব্দ শুনলাম না।”
তিনি আরও বলেন, “এই পরিবারগুলোর জন্য কি গণমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে? এই হচ্ছে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য— সময় বদলায়, কিন্তু তার বয়ান বদলায় না। এমন এক পরিবেশ তৈরি করে দেয়, যেখানে নুরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়, হাজার হাজার হারিয়ে যাওয়া মানুষের গল্পের চেয়ে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ১০ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না, কতজন মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন বা কতজন গুম হয়েছেন। এই তালিকাটি নির্মোহভাবে তৈরি করা জরুরি ছিল এবং রাষ্ট্রের উচিত ছিল প্রত্যেক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।”
তিনি ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, “আমরা আশা করি, যদি এই অন্তর্বর্তী সরকার সেটা করতে না-ও পারে, ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসলে সেটা নিশ্চিতভাবে করবে— এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। প্রত্যেক শহীদ ও গুম হওয়া পরিবারের পাশে আমরা থাকব, তদন্ত করব, আর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেন কখনো আয়নাঘর না হয়, সেই নিশ্চয়তা দেব।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, যারা রাষ্ট্রের দমন-পীড়ন ও গুমের ঘটনাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন।