বিজ্ঞাপন
এই দাবি তুলে আইনজীবীরা সম্প্রতি একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অ্যাডভোকেট আমিনা আক্তার লাভলী ও অ্যাডভোকেট লাবাবুল বাসার। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪(৩) অনুচ্ছেদ, ১৯৭২ সালের The Bangladesh National Anthem, Flag and Emblem Order-এর ধারা ৪ এবং Bangladesh National Emblem Rules, 1972-এর বিধি ৩ অনুযায়ী এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দে কোনো আইনগত বাধা নেই।
আইনজীবীরা ব্যাখ্যা করেন, জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার যে নকশা নির্ধারিত, সেটি ১৯৭২ সালের সংশ্লিষ্ট অর্ডার ও বিধিমালায় বর্ণিত আছে। সেই প্রতীকে শুধু শাপলা নয়, ধানের শীষ, পাটপাতা এবং তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ, শাপলা জাতীয় প্রতীকের একটি মাত্র উপাদান। সুতরাং শুধুমাত্র শাপলা প্রতীক ব্যবহারে জাতীয় প্রতীকের অপপ্রয়োগ হবে— এ যুক্তি আইনগতভাবে টেকসই নয় বলে তারা মত দেন।
বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও জাতীয় প্রতীকের বিভিন্ন উপাদান আলাদাভাবে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার নজির রয়েছে। যেমন, বিএনপিকে ‘ধানের শীষ’, জেএসডিকে ‘তারা’, অন্যদিকে ‘কাঁঠাল’ (জাতীয় ফল) এবং ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীকও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীরা স্পষ্ট করেন, এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক দাবি করেনি, যা জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে ভিন্নতা তৈরি করে। বরং তারা যে শাপলার কথা বলছেন, তা জাতীয় প্রতীকের একটি অংশমাত্র, যা এককভাবে আলাদাভাবে প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে কোনো সাংবিধানিক সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রয়োজনীয় আইনগত শর্ত পূরণ করলে নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন প্রদান করবে এবং ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
বিবৃতিতে আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট সব মহলকে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে আইনানুগ ব্যাখ্যা ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরার আহ্বান জানান।