বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৫ জুন) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছিলাম, চমেক হাসপাতালে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারণ রোগীরা দালালদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
তিনি আরও জানান, পূর্ব-পরিকল্পিত গোয়েন্দা তৎপরতার পর বুধবার ওই চক্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটক ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চিহ্নিত পুরনো অপরাধীরা, সাজা বাড়ানো হয়েছে
চমেক হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, এসব দালালরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে রোগীদের হয়রানি, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে টানাটানি, রোগীর মালামাল চুরি, এমনকি মোবাইল ফোন চুরির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এদের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ ইশরাক সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতদের অপরাধ অনুযায়ী ১ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সাজা এবং বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। “অনেকেই এর আগেও সাজা ভোগ করেছেন, কিন্তু কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এজন্য পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়া দালালদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর সাজা প্রদান করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
র্যাব জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও চমেকসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে দালাল ও অপরাধচক্র নির্মূলে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদক-এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ, চট্টগ্রাম