ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
গতকাল ২৪ জুন বিকেলে গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের মাঝে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন.এম. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তালিকা অনুযায়ী আমরা কার্ড বিতরণ করেছি। মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে এই তালিকা তৈরি করেছিল। আমরা সে অনুযায়ী কার্ড দিয়েছি। তবে আবেদনকারীর বাড়ি গফরগাঁও হলেও তিনি আবেদন করেছিলেন ঢাকায়। আমরা ঘটনাটি জানার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। যদি ওই ব্যক্তি জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সঠিক প্রমাণাদি দিতে না পারেন, তাহলে দাপ্তরিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার গেজেট বাতিল করা হবে।”
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন উপজেলার মশাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হাসান চমক ফকির। তিনি বলেন, “জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য কার্ড পেয়েছেন তাঁরা মিয়া, যিনি যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের ছবি সাটিয়ে মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন। তার ফেইসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অসংখ্য ছবি রয়েছে। মূলত গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাকিয়াপুড়া এলাকায় তার ভাইয়ের অসাবধানতাবশত চোখে লাঠির আঘাতে আহত হয়। কিন্তু এখন তাকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি জুলাই যোদ্ধাদের অনুষ্ঠান। আমি জানতাম না যে যুবলীগের নেতা তাঁরা মিয়া জুলাই যোদ্ধা হিসেবে কার্ড নিচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, এদিন মো. তাঁরা মিয়া ছাড়াও আরও পাঁচজনের হাতে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়। তারা হলেন- নূরে আলম সালেক, মো. রিমন মিয়া, ওয়াজেদ আলী শেখ, অপূর্ব হিমেল রানা এবং মোসাম্মত রুমী।
তালিকাভুক্তি ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠায় স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে সামাজিকভাবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে গেজেট সংশোধনের দাবিও উঠছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...