ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
এর আগের দিন বুধবার সকালে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা একটি মামলায় ‘দিনের ভোট রাতে’, ‘প্রহসনের নির্বাচন’ এবং জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে। এ মামলায় পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় আরও অভিযুক্ত আছেন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এর মধ্যে কে এম নূরুল হুদাকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সোমবার আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। গত রোববার (২২ জুন) শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা এ মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে আছেন তিনজন সাবেক সিইসি। তারা হলেন—২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়কার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করে তারা সংবিধান পরিপন্থীভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, এই কার্যকলাপে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো ও জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ সংযোজনের জন্য শেরেবাংলা নগর থানা কর্তৃক করা আবেদন বুধবার মঞ্জুর করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী ও এ কে এম শহীদুল হকসহ একাধিক প্রশাসনিক ব্যক্তি।