বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান মিয়া (৫৮)। তিনি মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে। স্থানীয় বাজারে ভাঙারী মাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই আব্দুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মনোহরদী থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ধর্ষণ, গোপনীয়তা ও গর্ভধারণের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী তরুণীর মা একজন ভিক্ষুক এবং বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা গ্রামের রাকিবুল হাসান নামে এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়।
বিয়ের এক মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে জানা যায়—তিনি তখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপর মেয়েটির পরিবার জানায়, সাত মাস আগে এক দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি গোপন রাখতে বাধ্য করেন।
সন্তান জন্ম ও গ্রাম্য সালিশ
গত ১৬ জুন, ওই তরুণী একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বসানো হলেও অভিযুক্ত রহমান মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং ভুক্তভোগীকে বিয়েতেও সম্মত হননি।
ওসির বক্তব্য ও ডিএনএ টেস্ট
ওসি মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন,
“অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। আদালতের নির্দেশে তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে। জন্ম নেওয়া শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান ধর্ষণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
-মো. এমরুল ইসলাম, মনোহরদী প্রতিনিধি, নরসিংদী