ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
এর ফলে হাজার হাজার মানুষ এক দীর্ঘ আইনি দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে। প্রায় ১২ হাজার মামলার প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে, যা প্রায় ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।”
১১ হাজারের বেশি মামলার সুপারিশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এখন পর্যন্ত ১৬টি বৈঠকে বসেছে এবং মে মাস পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে। ড. আসিফ নজরুল এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো থেকে মামলার তালিকা চাওয়া হলেও বিলম্বের কারণ স্পষ্ট
কমিটি জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা এফআইআর, চার্জশিটসহ প্রাসঙ্গিক নথি জমা দেয়।
ড. আসিফ নজরুল জানান, বিএনপি ইতোমধ্যে ১৬ হাজার এবং জামায়াতে ইসলামি ১২০০টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ জমা দিয়েছে ৪৪টি মামলার তালিকা।
তবে আইন উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এফআইআর ও চার্জশিট জমা না দেওয়ায় মামলার যাচাই-বাছাইয়ে বিলম্ব হচ্ছে। “সঠিক নথি ছাড়া মামলা দ্রুত প্রত্যাহার সম্ভব নয়,”—বলেন তিনি।
সরকারের দৃঢ় অবস্থান: ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা আর থাকবে না
আইন মন্ত্রণালয় বলছে, অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করতে গিয়ে যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল, সেগুলোর সুষ্ঠু যাচাইয়ের মাধ্যমে আসল ও মিথ্যার পার্থক্য টেনে সত্যিকার নির্যাতিতদের সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...